সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) :
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীতে স্থায়ী বেড়ীবাঁধের অভাবে প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটার সাথে সংসার পেতেছে এলাকাবাসী । দিন দিন বাস্তুহারা হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। অথচ এই জোয়ার ভাটার প্লাবন ঠেকাতে নেই পর্যাপ্ত উদ্যোগ। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থাও নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। নিজেদের প্রচেষ্টায় জীবন বদলানো শুরু করতেই আবারও প্লাবনের কবলে পড়েন ক্ষতিগ্রস্থ নিঃস্ব মানুষরা। বারবার সাগরের আগ্রাসনে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোই হয়ে ওঠে না ওদের।
সরেজমিনে ইউনিয়নের গোমাতলীতে ঘুরে দেখা যায়, মাইলের পর মাইল গ্রাম এখন পানির নিচে। কিছুদিন আগেও যারা একসঙ্গে বসবাস করতেন, ঘর হারিয়ে এখন কে কোথায় আশ্রয় নিয়েছে কেউ জানে না।
স্থানীয়রা জানান, ৯১’র প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবের পর থেকে গোমাতলীবাসী মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। বারবার উপকূলের ওপর আঘাত হানা প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলো ভিটেমাটি ছাড়া করেছে । সম্প্রতি গোমাতলীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রোয়ানু’র আঘাতে ধ্বংস হয়েছে বেড়িবাঁধ। প্লাবিত হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ঘরহারা হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে আক্রান্ত পরিবারগুলো। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে অনেকে। সরকারের কাছে তাদের একটাই দাবী, গোমাতলীর প্রায় ২০ হাজার মানুষের জীবন রক্ষায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। তারা বাচঁতে চাই, বাচাঁর জন্য ত্রাণ নয়, স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই।
এদিকে প্রতিদিনই বাড়ছে জোয়ারের পানি। প্লাবিত এলাকাটিতে এখনো যাদের বাড়ি ঘর সুরক্ষিত আছে, তারা প্রতিনিয়তই শঙ্কায় থাকেন কখন যাবে তার বাড়িটিও। এদের অনেকের রয়েছে লাখ টাকার লবণ মাঠ ও মাছের ঘের। যেকেনো সময় সাগর বক্ষে তলিয়ে যেতে পারে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভলটুকু। ফলে বর্ষার আগে কাজ শুরু করাতো দূরের কথা বর্ষার পরে পাউবো বেড়িবাঁধ সংষ্কার কাজ শুরু করতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সচেতন মহল গোমাতলীর অসহায় মানুষের এমন দূর্যোগের মুহূর্তে একযোগে কাজ করার দাবী জানান ।
পাঠকের মতামত: